আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): দারুল জামাল শহরে হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে নাইজেরিয়া–ক্যামেরুন সীমান্তে একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন সেনাসদস্য ছিলেন।
নাইজেরিয়ায় কয়েক বছর ধরে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের আশ্রয়শিবিরগুলো বন্ধ করে নিজেদের গ্রামে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। তবে সাম্প্রতিক এই হামলা গত কয়েক বছরের সেই উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বোর্নো রাজ্যের গভর্নর বাবাগানা জুলুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই সম্প্রদায়কে কয়েক মাস আগে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছিল। এখন পর্যন্ত আমরা ৬৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছি। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক ও সেনা—উভয়ই রয়েছেন।’
২০১৩-১৫ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম বিদ্রোহের পর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা কিছুটা কমেছে। তবু প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকান প্রভিন্সসহ (আইএসডব্লিউএপি) বিভিন্ন গোষ্ঠী উত্তর-পূর্বের গ্রামীণ এলাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বোর্নো রাজ্যের গভর্নর আরও বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল পর্যাপ্ত নয়। তাই ফরেস্ট গার্ডস নামে পরিচিত নবগঠিত একটি বাহিনী এ অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করতে মোতায়েন করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে আটটার দিকে হামলা শুরু হয়। এ সময় কয়েকডজন সশস্ত্র ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি চালান এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেন।
মালাম বুকার নামে একজন গ্রামবাসী বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা চিৎকার করতে করতে আসেন। সামনে যাঁকে পেয়েছেন, সবাইকে গুলি করতে থাকেন।
হামলার সময় মালাম স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে গ্রামে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘সকালে আমরা ফিরে এসে দেখি সব জায়গায় লাশ পড়ে আছে।’
Your Comment